ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার যতোই বিলম্বিত হচ্ছে, ততোই ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। বিএনপি এরইমধ্যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা বিচারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা শঙ্কার বিষয়।
শনিবার 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০টায় শুরু হয়।
তিনি প্রশ্ন করেন- নুরেমবাগ ট্রায়ালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে যদি এক বছরে ২২ জনের সাজা দেওয়া যায়, আমাদের এখানে এত বিলম্বিত হচ্ছে কেন? এমনিতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তাবেলা হত্যার পর দেশে আইএস আছে প্রমাণ করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। এ নিয়ে মার্কিন চাপ রয়েছে। বিচার যত দ্রুত শেষ করা যায় ততোই মঙ্গল। অন্যথায় এটা নানা বাধায় পড়তে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. এম এ হাসান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ