বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রাখায় তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সাকা’র জন্মস্থান রাউজান এবং আরেক নির্বাচনী এলাকা ফটিকছড়ির অবস্থাও একেবারে স্বাভাবিক। তবে তিন উপজেলায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার আছে।
জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া এবং ফটিকছড়িতে একসময় সাকা চৌধুরী পরিবারের দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল। এজন্য রিভিউ আদেশ আসার পর তিন উপজেলায় সাকা’র অনুসারীরা যাতে কোনো ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সেজন্য এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কিন্তু তিন উপজেলার কোথাও সাকা’র অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মীরা এবং তাদের জোটভুক্ত জামায়াত-শিবিরের কেউ মাঠে নামার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রায়ের পর রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়িতে কোন প্রতিক্রিয়ার খবর পাইনি। পরিস্থিতি একেবারেই শান্ত আছে। শুধুমাত্র রাঙ্গুনিয়ায় একটি আনন্দ মিছিল আমরা দেখেছি। রাস্তায় আমাদের টহল জোরদার আছে। তিন উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
এদিকে, রায়ের পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। রাউজানের গহিরা, মুন্সীঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ফটিকছড়িতে রায় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া কিংবা আলোচনা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রাউজানের জগৎমল্লপাড়া, কুণ্ডেশ্বরী, উনষত্তরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের বাড়ি আছে সেখানে সার্বক্ষণিক এক প্লাটুন করে পুলিশ মোতায়েন আছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থেকে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাউজানের গহিরা গ্রামে তাদের বাড়ি। ২০০৮ সালে ফটিকছড়ি থেকেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব