হরতালের কারণে আদালতে কোন আসামি হাজির করতে না পারায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণ না করে আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য্য করেছেন।
আসামি ও সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে এনিয়ে মোট ৬ বার ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানো হলো। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাক্ষ্যগ্রহণের দশম দিনে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে তিন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণের কথা থাকলেও হরতালের কারণে কারান্তরীণ ১৪ আসামির কাউকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি এডভোকেট কিশোর কুমার কর।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত আটজন সাক্ষী দিয়েছেন। আলোচিত এ মামলায় ১৭১ জনের জবানবন্দি শুনবে আদালত।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদস্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা