যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসির রায় বহাল থাকার পর থেকে তাঁর জন্মভূমি চট্টগ্রামের রাউজানে নিরাপত্তা বলয়ে নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুইটি গাড়ি নিয়ে ২২ জন (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবি টহল দিচ্ছে। গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে আরও দুই শতাধিত বিশেষ পুলিশ।
কোন ধরণের নাশকতা ও হামলা প্রতিরোধে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ১৯৭১ সালে সাকা চৌধুরী নির্যাতনের স্বীকার শহীদ পরিবারকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। যা মনিটরিং করা হচ্ছে সার্বক্ষণিক। বহিরাগত কোন ব্যাক্তি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রাউজানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতাসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাখা হয়েছে শতাধিক বাড়তি পুলিশ।
এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগ সদর মুন্সিরঘাটা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ গহিরা চৌমুহনীতে অবস্থান নিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানিয়েছেন, ''কুখ্যাত রাজাকার সাকা চৌধুরী রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে।''
তিনি বলেন, রায়কে পুঁজি করে কোন সন্ত্রাসী রাউজানে প্রবেশের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রতিহত করবে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে অবস্থানে রয়েছে। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। দুই শতাধিক পুলিশ র্সাবক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। তবে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির একটি টিম রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব