বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি’র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নুরে আলম ও ক্যামেরা পার্সন দিদার হোসেনকে এক পুলিশ কর্মকর্তা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা জেলা পুলিশের ট্রেইনি সহকারী পুলিশ সুপার মশিউর রহমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী আতিকুল বাশার। তিনিও ওই দুই সাংবাদিককে মারধর করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে এই মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর এশিয়ান টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সেলিম খান শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাতে সাদা পোশাকে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান। তখন মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী আতিকুল বাশার। তল্লাশি চৌকির সামনে আসলে পুলিশ মোটরসাইকেলটি থামায়। সেখানে আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে এশিয়ান টিভির দুই সাংবাদিক ছবি নিচ্ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে কথাও বলছিলেন। মোটরসাইকেল আরোহী দু'জনের ছবি নেওয়ার সময় একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আতিকুল বাশার ও মশিউর রহমান তাদের মারধর করেন।
পুলিশ সূত্রটি বলছে, ওই সময় দু'জনই মদ্যপ ছিলেন। পরে তাঁদের প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে পাকস্থলী ওয়াশ করার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। এর পর এএসপি মশিউরকে ঢাকা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, আজ দুপুরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, শাহবাগে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ কর্মী দু'জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। টেলিভিশনের সাংবাদিকেরা তাঁদের ছবি নেওয়ার এর একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা দুই সাংবাদিককে মারধর করেন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ নভেম্বর, ২০০৫/মাহবুব