যুদ্ধাপরাদের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। কিন্তু আমরা জানি এদেশের মানুষ বাবাকে ‘বাংলার বাঘ’ হিসেবে চিনেন। তিনি কখনো প্রাণভিক্ষা চাননি। তাছাড়া আমরা যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম তখন বাবা বলেছিলেন, তোমার বাবা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, কারও কাছে মাথা নত করে না।
আজ রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাবার মরদেহ দাফনের পর রাউজানের মধ্যগহিরার গ্রামের বাড়ি বাইতুল বিল্লালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ১০ মিনিটের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাকার ছোট ভাই জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী, নেজামে ইসলামী পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান চৌধুরীসহ সাকা পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা।
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা বাবাকে দাফন করে এসেছি। একটি অবৈধ রায়ে আমার বাবাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। একজন বেকসুর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষ অবশ্যই একদিন ন্যায়বিচারের ডাক দিবে। তবে আমরা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ এখন দেশের এমন পরিস্থিতি অনেকে খুন-গুম হচ্ছেন। অনেকে আপনজনের মরদেহ খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা সৌভাগ্যবান যে সম্মানের সঙ্গে বাবাকে দাফন করতে পেরেছি।
হুম্মাম বলেন, আমার বাবা চট্টগ্রামের সিংহপুরুষ। ইংরেজিতে ‘লিগেসি’ বলে যা আছে তা টিকে থাকবে। এ হত্যার বিচার একদিন না একদিন হবে। চট্টগ্রামের মানুষ এ রায় কোনোদিন মেনে নেবে না।
সাকা চৌধুরীর ছোট ভাই জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তিনি (সাকা চৌধুরী) বলেছেন, ‘আমি যদি মার্সি (ক্ষমা) চাই, তবে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে চাইবো, কোনো বান্দার কাছে নয়। এরপর তিনি শুধু একটা কথাই বলেছেন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর, ২০১৫/ মাহবুব/ রশিদা