রাজশাহীর চারঘাটে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন আকবর আলী নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। শনিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর এলাকার পদ্মা নদীর পাড় থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় আকবরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আকবর ওই এলাকার আজগর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আসলাম উদ্দিন ও চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারন চন্দ্র বর্মন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, নিহতের পরিবারের দাবি পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে আকবরকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারঘাট মডেল থানায় হত্যামামলা করেছে নিহতের পরিবার।
নিহতের বড় মেয়ে শিল্পী জানান, শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে আকবর আলী বাড়ি থেকে একটি টর্চ লাইট হাতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে লোক মুখে সংবাদ আসে আকবর আলীর হাত পা ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় পিরোজপুর এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পদ্মার পাড়ে গিয়ে দেখেন আকবর আলীকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে।
আকবরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম দাবি করেন, দুই মাস আগে ভারত থেকে ফেনসিডিল আসার সময় ওই নদীর মধ্যে ফেনসিডিল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি তার দলবল নিয়ে আকবর আলীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারপিট ও হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল। শাহনাজের দাবি মাদক ব্যবসায়ী হ্যাপি তার দলবল নিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। হ্যাপি ছাড়া তার স্বামীর সঙ্গে অন্য কারও কোনো বিরোধ ছিল না।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, নিহত আকবর আলী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র কওে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা