চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে ম্যাটস (মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল) কোর্স চালুর অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষের কাছে আসে। নগরীর আলকরণ ওয়ার্ডস্থ ফিরিঙ্গি বাজর এলাকায় চসিকের নিজস্ব শূন্য দশমিক ৬৭৮৪ একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই কোর্সটি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ম্যাটস কোর্স চালুর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল পাঠান ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় সর্বপ্রথম ম্যাটস কোর্স চালুর সরকারি অনুমোদন পেল। বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ কোর্স শেষ করে প্রশিক্ষিতরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট পদে কাজ করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে এ দুটি ক্ষেত্রে অনেক পদ শূন্য আছে।
জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ৩ হাজার ১৫২টি মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট পদ শূন্য। তাছাড়া দেশে ১৩ হাজার ৫০০ টি কমিউিনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে একজন করে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু প্রশিক্ষিত লোক সংকটে তা পূরণ করা যাচ্ছে না। কিন্তু ম্যাটস কোর্সের মাধ্যমে এসব শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএডিসি) কর্তৃক মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টদের প্র্যাক্টিসের অনুমতি আছে। ফলে ম্যাটস কোর্সধারীরা প্রাইভেট প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবেন।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত চসিকের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় কোর্সটি চালুর প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। ২১ জুলাই চসিকের ৪৯তম সাধারণ সভায় তা অনুমোদিত হয়। ১৭ সেপ্টম্বর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি পরিচালনা পরিষদের সভায় বিষয়টির সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ম্যাটস কোর্স চালুর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট প্রোফাইল পাঠিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রয়োজনীয় অনুমোদন চাওয়া হয়। আজ সে অনুমোদন মিলে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন