গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রেনের টিকেটের দাম বৃদ্ধির সাথে সিএনএসের নতুন সিস্টেমেও সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এই ত্রুটির কারণে গত চারদিন ধরেই আসন সংরক্ষিত বা কোটার টিকেট সংগ্রহকারীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
লোকাল সিস্টেম থেকে কেন্দ্রীয় সিস্টেমের আওতায় আনতে এসব ত্রুটি হচ্ছে। প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও টিকেটবিহীন ফিরে আসতে হচ্ছে। কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে তাও বুঝতে পারছেন না যাত্রীরা।
তবে সিএনএস কোম্পানীর কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে টিকেট সংরক্ষনের ক্ষমতা থাকলেও কেন্দ্রীয় ক্ষমতা নেয়ার নতুন সিস্টেমের কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কতটুকু কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করবে সেই প্রশ্ন ‘খোদ’ রেল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সিএনএস স্টাফদের মাঝেই।
ট্রেনের ‘কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত আসন সংরক্ষণ ও টিকেটিং (সিএসআরটি)’ ব্যবস্থা পরিচালনা করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। রেলের সাথে গত ৭ মাস আগে নতুন করে আবারও চুক্তি করে টিকেটিং ব্যবস্থা আরো সুন্দরভাবে পরিচালিত করার জন্য কিছুটা সংযোজনও করেছে। এতেও রয়েছে বড় ধরণের ত্রুটিও।
এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য সোমবার সকালে রেলভবনে এ বিষয়ে রেলের এডিজি (অপারেশন) হাবিবুর রহমান, রাজশাহীর সিসিএম মিহির কান্তি গুহ ও সিএনএস কোম্পানীর মালিক মনিরুজ্জমানসহ রেলওয়ে ও কোম্পানীর উধর্তন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন বলে জানান সিএনএস কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার শামীমুর রহমান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সারাদেশে লোকাল সেন্টার থেকে কেন্দ্রীয় সেন্টারে নিতে গিয়ে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অধিকাংশ রেলস্টেশনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। কাজ করতে গিয়েও কিছু ত্রুটি বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকি কাজগুলো আজ-কালকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সেন্টারের আওতার পাশাপাশি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্টেশনে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দিয়েছে সিএনএসের সার্ভার সিস্টেমে। বিভিন্ন লোকাল রেলস্টেশনের সিএনএস কোম্পানীর নিজস্ব অফিস থাকলেও এবার নতুন করে কেন্দ্রীয়ভাবে স্পটওয়্যার তৈরি করতে গিয়ে এসব ত্রুটি শুরু হয়েছে। কোম্পানীর দায়িত্বহীনতার কারণে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহকারি বা যাত্রীরা টিকেট নিতে এসেই এসব সমস্যায় পড়ছে প্রতিনিয়ত।
শহিদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, সিলেট রেলস্টেশনে গত দুইদিন ধরে গিয়ে টিকেট নিতে পারিনি। আশার সময় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থেকেই টিকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। এতে যেই কাজে সিলেট যাওয়া সেই কাজটিও ভাল করে করতে পারিনি। এছাড়া রাজশাহীতেও কয়েকদিন ধরেই এসব সমস্যার কারণে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মকর্তাদের সাথে যাত্রীদের হট্টগোল ও বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান রেল সংশ্লিষ্টরা। এতে আদৌ দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হবে কিনা সেই প্রশ্ন সবার কাছেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন