ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণকল্পে ‘জমির মালিকানা সনদ’ (সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ-সিএলও) চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। একই সঙ্গে দেশে 'ভূমি ব্যাংক' স্থাপনের পরিকল্পনা প্রণয়নের চিন্তা করছে। যা হলে ভূমির হালনাগাদ তথ্য ধারণসহ সিএলও বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। তবে এজন্য আইনী বিধান সংযোজন করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোণা-৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ধারামতে রেকর্ডের হালনাগাদ কার্যক্রম এসি ল্যান্ড অফিস কর্তক সম্পাদিত হলেও তাদ্বারা সর্বশেষ মালিকানার তথ্য প্রতিফলিত নাও হতে পারে। কারণ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রতিনিয়ত যে হস্তান্তর দলিল সম্পাদিত হয়, সেভাবে হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে নামজারী সম্পাদন হয় না। এছাড়া দুটি অফিসের মধ্যে কোন কার্যকর সংযোগ বা সমন্বয় নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে এসি ল্যান্ড অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের মধ্যে কোন সমন্বিত কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। তিনি জানান, সিএলও প্রথা চালু করার জন্য এসি ল্যান্ড ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের মধ্যে অনলাইন সংযুক্তির প্রয়োজন আছে। ইতোমধ্যে বাস্তবায়নাধীন ‘স্ট্রেদারিং অ্যাকসেস টু ল্যান্ড এন্ড প্রপার্টি রাইটস টু অল সিটিজেনস অফ বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় আইডিএলআরএস (ইন্ট্রিগেটেড ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ডস সিস্টেম) নামে একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় পাইলট উপজেলা হিসেবে তিনটি ভূমি অফিসের মধ্যে ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন