প্রায় একবছর শূন্য থাকার পর অবশেষে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পেতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। আইনী লড়াই শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানান।
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারান্তরিণ হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়ে আইনী লড়াই শুরু হয়। ফলে একবছর ধরে মেয়রের পদটি শূন্য রয়েছে।
কয়েস লোদীর আইনজীবী মোস্তাক আহমদ জানান, কয়েস লোদী ও সালেহ আহমদ চৌধুরীর দায়েরকৃত রিট পিটিশন শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৬ মে যে রায় প্রদান করেন, সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি হাতে পেয়েছেন। ওই রায়ে কয়েস লোদীর প্যানেল মেয়রের পদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছবে জানিয়ে অ্যাডভোকেট মোস্তাক বলেন, এরপর আদালতের আদেশক্রমে ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিষয়টির সমাধান দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব