স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় গ্রেফতারকৃত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পাহাড়তলী রেলস্টেশন ফাঁড়ি ইনচার্জ হাবিলদার মো. মেজবাহ উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডিবি পরিচয়দানকারি অন্য দুই ব্যক্তিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে তারাও আরএনবি'র সদস্য বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে পাহাড়তলী স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে ছিল দুই ব্যবসায়ী। এসময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুইজন সদস্য তাদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ২০৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের পাহাড়তলী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁড়ি ইনচার্জ মেজবার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বসতে বলে ওই দুই সদস্য পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার বিকেলে মেজবাহকে আটক করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাতে স্বর্ণ বহনকারী হাজারী গলির ঝুমুর মার্কেটের বিশ্বকর্মা বুলিয়ন দোকানের কর্মচারী পলাশ নন্দী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে মেজবাহকে প্রধান আসামি করা হয়। রাতেই তাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ।
ঘটনার পরেরদিন মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে মেজবাহ উদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরএনবি'র এক সদস্যবিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পূর্বাঞ্চলের কমাড্যান্ট মো. ফাত্তাঁ ভুইয়া। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দায়িত্ব অবহেলার পাশাপাশি অন্য কোন বিষয়ে জড়িত আছেন কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
রেলওয়ে পুলিশের ওসি হিমাংশু দাশ রানা বলেন, স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পাহাড়তলী রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। ৭দিনের রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পলাতক দুইজনসহ আরো কারা জড়িত তাদের বিষয়ে খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসল রহস্য বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
অভিযোগ রয়েছে, আরএনবি'র দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কৌশলী ভূমিকায় হাবিলদার মেজবাহ উদ্দিন, সিপাহি আবুল খায়ের, সিপাহি সোহেল, সিপাহী রিপন দাশসহ কয়েকজন সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মাদক ও ইয়াবা ব্যবসাসহ অপকর্মের সাথে জড়িত আছেন। গত সোমবার ডিউটিতে থাকা অবস্থায় আবুল খায়ের ও সোহেল এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/১ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ