বরিশালের উজিরপুুরে পরিবারের অমতে বিয়ে করায় এক স্কুলছাত্রী কিশোরীকে হাত-পায়ে শেকল বেঁধে তার খালা বাড়িতে প্রায় একমাস ধরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উজিরপুর থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার পৌর শহরের রাখালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং সোহেল গোমস্তা নামে একজনকে আটক করে।
উদ্ধারের পর কিশোরী ফাতেমা আক্তার অমি (১৫) অভিযোগ করেন, খালা বাড়িতে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য সে তার খালা রুমা বেগম ও তার সহযোগী সোহেল গোমস্তাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
ফাতেমা আক্তার অমি উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকার সৌদি প্রবাসী রাশেদ হাওলাদারের মেয়ে। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার দুপুরে উজিরপুর থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ফাতেমা জানায়, বরাকোঠার মান্নান শরীফের ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৭ জানুয়ারি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তার (ফাতেমা) মা উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে আদালত ফাতামাকে তার মায়ের জিম্মায় মুক্তি দেয়। একমাস আগে ফাতেমাকে তার খালা রুমা বেগমের বাসায় নিয়ে একটি কক্ষে হাত-পায়ে শেকল দিয়ে আটকে রাখে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপনে প্রতিবেশী একজনের মুঠোফোনে ফাতেমা উদ্ধার করার জন্য উজিরপুর থানার ওসিকে অনুরোধ জানায়। পরে ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
উজিরপুর ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ফাতেমার ফোন পেয়ে তারা রাখলতলা এলাকায় রুমা বেগমের বাসায় গিয়ে হাত-পায়ে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় রুমা বেগম পালিয়ে যায়। ওই বাড়ি থেকে ফাতেমার মা পারভীন বেগম ও সোহেল গোমস্তা নামে দুইজনকে আটক করা হলেও ফাতেমার দায়ের করা মামলায় সোহেলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ফাতেমার মা’কে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/১১ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব