রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগর দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। বিচারকরা একটি মামলায় জামিন দিলেও অপর ৮টি মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১০ মাস পলাতক থাকার পর গতকাল তিনি আত্মসমর্পণ করলেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৭ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান পলাতক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপরই বুলবুল আত্মসমর্পণ করলেন।
২০১৩ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৭ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র হিসেবে। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন বুলবুল। পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় হত্যা, গাড়ি পোড়ানো, ককটেল হামলাসহ তার নামে ৯টি মামলা হয়। সিদ্ধার্থ হত্যামামলার চার্জশিট দেওয়ার পর গত বছরের ৬ মে বুলবুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সেই থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
বুলবুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম জানান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম ৪টি মামলার মধ্যে একটির জামিন দেন। অপর তিনটি মামলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলতাফ হোসেনের আদালতে থাকা ৫টি মামলার জামিন আবেদন করা হয়েছে। তবে বিচারক কোনো আদেশ দেননি। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে থাকা একটি মামলার জামিন আবেদনের বিপরীতে বিচারক কোনো আদেশও দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৬/শরীফ