সিলেট নগরীর রায়নগরে যুবলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুইজন। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টায় বিপ্লব রায় (২৯) নামের ওই যুবক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জমশেদ সিরাজ ছুরিকাঘাত করেছেন বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে। নিহত বিপ্লব রায় শহরতলীর মেজরটিলা এলাকার বিজয় রায়ের ছেলে। ছুরিকাঘাতে আহত অপর দুইজন হলেন- নগরীর রায়নগরের হরিলাল দাসের ছেলে অনন্ত লাল দাস (২৮) ও রায়নগর সেবক ১৩৩ নম্বর বাসার স্বপন দে’র ছেলে প্রীতম দে (২৬)।
আহত অনন্ত লাল ও নিহত বিপ্লবের স্বজনরা জানান, বিপ্লব রায় দীর্ঘদিন নগরীর রায়নগর এলাকায় বসবাস করেছেন। ওই সময় বিপ্লবের এক ভাতিজিকে উত্যক্ত করতো জমশেদ সিরাজ অনুসারী সুমন নামের এক বখাটে। এর প্রতিবাদ করেন বিপ্লব। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। সুমন দেখে নেয়ার হুমকি দিলে গত ১৫ অক্টোবর বিপ্লব কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু পুলিশ ওই সময় তা আমলে নেয়নি। একপর্যায়ে বিপ্লব রায়নগর এলাকা ছেড়ে মেজরটিলায় বাসা ভাড়া করে চলে যান। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্ধু প্রীতম ও অনন্তের সাথে দেখা করতে রায়নগর পয়েন্টে আসেন বিপ্লব। তিনজন মিলে সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। রাত সোয়া ১২টার দিকে যুবলীগ নেতা জমশেদ সিরাজ তাদেরকে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন আহতাবস্থায় তিনজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত দেড়টার দিকে বিপ্লব মারা যান।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। অভ্যন্তরিণ বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বিরোধ কি নিয়ে তা বলতে রাজি হননি তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন