পুরান ঢাকার ইসলামপুরে ঝব্বু খানম মসজিদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতেই মুয়াজ্জিন মাওলানা হাজী মো. বেলাল হোসেনকে (৪৯) হত্যা করা হয়।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি, লালবাগ) মো. মফিজউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের একটি মসজিদে।
তিনি বলেন, মসজিদের নিচতলায় দুটি ফ্লোরে ৩৩টি দোকান আছে। ওই দোকান থেকে প্রতি মাসে ৪২ হাজার টাকার ভাড়া এবং মসজিদের দানবাক্স থেকে ১০/১২ হাজার টাকা আসে। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মসজিদের আয় হতো। মসজিদের কোনো কমিটি না থাকায় দীর্ঘদিন এই অর্থের নিয়ন্ত্রণ মুয়াজ্জিন বেলালই করতেন।
মফিজউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এসব অর্থ আত্মসাৎ ও পুরো মসজিদের নিয়ন্ত্রণ পেতেই খাদেম হাবিবুর রহমান (২০) মুয়াজ্জিনকে হত্যা করেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন মো. মোশারফ হোসেন (১৯), তোফাজ্জল হোসেন (২৩) ও সারোয়ার হালিম (৩৮)। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও একজন জড়িত রয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব