১২ বছর আগে স্কুলছাত্র মামুন (১৫) হত্যা মামলায় দুই সহোদরসহ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভুইয়া এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন গাজীপুরের পূবাইলের হাড়িবাড়ির টেক এলাকার আফজাল হোসেন সরকারের ছেলে জামান সরকার, একই এলাকার আব্দুল হামিদ ভূইয়ার ছেলে মো. শাকিল ভূইয়া, তার ভাই ইকবাল হোসেন ভূইয়া এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার লতাবর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু সায়েম (পলাতক)।
খালসপ্রাপ্তরা হলেন হাড়ীরবাড়ির টেক এলাকার আফজাল হোসেন সরকার (৬৫), তার ছেলে উজ্জল সরকার (৩৭) এবং একই এলাকার ইদ্রিস আলী খানের ছেলে সুমন খান (৩৮)।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আফজাল হোসেন সরকারের ছেলে জামান সরকার স্থানীয় ভাদুন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মামুনের (১৫) বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মামুনের পরিবার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এর জেরে ২০০৪ সালের ১০ অগাস্ট ভোরে মামুনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় জামান। এর তিন দিন পর একই এলাকায় একটি বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংক থেকে মামুনের দুই হাত, দুই পা রশি দিয়ে বাঁধা, গলায় কাপড় পেঁচানো, চোখ উপড়ানোর গলিত লাশ পাওয়া যায় বলে মামলায় বলা হয়।
পরিদর্শক রবিউল বলেন, ওই রাতে নিহতের বাবা মো. হাসান খন্দকার বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। সিআইডির পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ তদন্ত শেষে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ২০০৬ সালের ১১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব