স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, ওষুধ আইন লঙ্ঘনের কারণে ২০১৫ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯৩টি ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানের ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ৭৯ টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে এবং ৯ টি নিয়মিত মামলা দায়েল করা হয়েছে। উক্ত সময়ে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক ১ হাজার ৬৬৫ টি ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানা পরিদর্শন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বেদশম অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে ইসরাফিল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে মোট ৮৬৩ টি ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে এলোপ্যাথিক ঔষধ কারখানা ২৮০ টি, ইউনানী ২৬৬ টি, আয়ুর্বেদিক ২০৭ টি, হোমিওপ্যাথিক ৭৯টি ও হার্বাল ঔষধ কারখানা রয়েছে ৩২টি।
আশরাফ খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক সারা দেশে নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ১ হাজার ৬৬৭ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ কোটি বাইশ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, ৪০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬১ টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও আনুমানিক ২৪ কোটি টাকার নকল ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব