ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে অনেক আইনি সমস্যা ও মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এসব জটিলতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলেও যোগ করেন তিনি। গতকাল দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ইউএনএফপিএ-এর সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা। এদিকে, গতকাল বিকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর কারণ হিসেবে ১০টি জটিলতার কথা তুলে ধরেন এই উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নিজের প্রতি ইশরাক হোসেনের আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পাননি বলেও পোস্টে জানিয়েছেন তিনি। ডিএসসিসির মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে তার সমর্থকদের চলমান আন্দোলনে জনদুর্ভোগ হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এ সময় নগরবাসীর ভোগান্তি নিরসনে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান তিনি। এদিকে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর ১০ কারণ তুলে ধরে পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন- প্রথমত, আরজি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাই কোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপক্ষীয় রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি। তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিস উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থত, ওই মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই। পঞ্চমত, শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন। ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি করপোরেশন-সংক্রান্ত মামলায়, আরজি সংশোধন-সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না। সপ্তমত, মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কত দিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। অষ্টমত, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা-সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে। নবমত, এ জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। দশম, আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
শিরোনাম
- আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত
- যমুনা অভিমুখে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা
- ৭০ বছরের শত্রুতা: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ইতিহাস
- ভোটার হলেন জুবাইদা রহমান
- দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার
- বগুড়ায় ছাত্রী সেজে শিক্ষক অপহরণ, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২
- ভালুকা মহিলাদলের সভাপতি শামীমা, সম্পাদক শারমিন
- মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস
- পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
- ‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
- চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
- উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
- সৌদি থেকে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ হাজি
- আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ
- ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
- মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার
- হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
- বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ
- করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
মেয়র ঘোষণা নিয়ে বাড়ছে উত্তাপ
শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে : উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর