সাতক্ষীরার কাঁকড়া চাষিরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার ৬৪৪ মেট্রিক টন কাঁকড়া রপ্তানি করেছেন। এবার রপ্তানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন। বর্তমানে জেলার ৩২১টি স্থানে ৩৬৪ জন চাষি, কাঁকড়া চাষ করছেন। সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সুন্দরবনের গা ঘেঁষা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কাঁকড়া চাষ এখন লাভজনক ও টেকসই শিল্প। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে স্বাবলম্বী হচ্ছে শত শত পরিবার। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক নারীরও। সম্ভাবনা দেখে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো আগ্রহী হওয়ায় চাষিরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন কাঁকড়া চাষে। শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান ৬ বিঘা জমিতে পাঁচ-ছয় বছর ধরে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ করছেন। পানির সমস্যার পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো না। ফলে গাবুরা ইউনিয়নের একটি কোম্পানি বোট নিয়ে এসে কাঁকড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো সরকারি সহযোগিতা পাইনি। যদি প্রশিক্ষণ ও পানির সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসে, তাহলে এই পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষে আরও বেশি মানুষ যুক্ত হবে। সাতক্ষীরার এই প্রকল্পে শুধু চাষিরাই নন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বহু শ্রমজীবী মানুষের জন্যও। কাঁকড়ার খাঁচা চেক করতে হয় সকাল, দুপুর, বিকাল ও সন্ধ্যায়। এরপর রাত ১১টা ও রাত ৩টায় দেখতে হয় খোলস বদলেছে কি না। সফটশেল কাঁকড়া আলাদা করে তোলা হয়। পরে ক্রেতা কোম্পানি সেই কাঁকড়া বিভিন্ন গ্রেডে কিনে নেয়। জানা যায়, এই প্রকল্পে নারীরাও সরাসরি যুক্ত। কেউ কাঁকড়ার খাবার হিসেবে তেলাপিয়া মাছ কেটে দেন, কেউ খাঁচা পরিষ্কারের কাজ করেন। স্থানীয় জাফর সোহাগ সাদিক বলেন, এই চাষের কারণে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে। নারীরাও আয় করছেন। এটা অনেক লাভজনক পদ্ধতি। জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাতক্ষীরা জেলা থেকে ৬৪৪ মেট্রিক টন সফটশেল কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বর্তমানে ৩৬৪ জন চাষি, জেলার ৩২১টি স্থানে এই চাষ করছেন। বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাতক্ষীরায় চিংড়ির পাশাপাশি কাঁকড়া চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি খুব সম্ভাবনাময় একটি খাত। আমরা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছি, কিছু বেসরকারি সংস্থাও কাজ করছে। তবে সমস্যার কথাও জানালেন তিনি। বলেন, প্রতি বছর পাঁচ মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ বন্ধ থাকে এবং এখানে কাঁকড়ার হ্যাচারি নেই। হ্যাচারি হলে সারা বছর উৎপাদন সম্ভব হতো এবং কর্মসংস্থান অব্যাহত থাকত বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সরকারিভাবে কীভাবে এই বন্ধ সময়েও চাষিদের সহায়তা দেওয়া যায়। বনবিভাগের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। বাগদা বা গলদার পাশাপাশি কাঁকড়া চাষ আত্মকর্মসংস্থানের বড় মাধ্যম হতে পারে।
শিরোনাম
- সেন্ট মার্টিন নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ভোটাধিকার হরণে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে: ফারুক
- ‘মব’ সংস্কৃতি সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ
- আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত
- যমুনা অভিমুখে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রা, পুলিশের বাধা
- ৭০ বছরের শত্রুতা: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ইতিহাস
- ভোটার হলেন জুবাইদা রহমান
- দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার
- বগুড়ায় ছাত্রী সেজে শিক্ষক অপহরণ, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২
- ভালুকা মহিলাদলের সভাপতি শামীমা, সম্পাদক শারমিন
- মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস
- পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
- ‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
- চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
- উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
- সৌদি থেকে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ হাজি
- আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ
- ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
- মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার
- হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
উপকূলের অর্থনীতি জোরদার কাঁকড়ায়
রপ্তানি ছাড়িয়েছে শতকোটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর