বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সরকারের সময়মতো সঠিকভাবে আলোচনায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। ‘এটা সত্যিই উদ্বেগজনক যে, গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়গুলোতে ব্যবসায়ী সমাজকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি সরকার সত্যিই পদক্ষেপ নিতে চায়, তাহলে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সঠিকভাবে আলোচনা করা উচিত,’ বলে মনে করেন দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠনের সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় ৪০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত প্রস্তাব করেছেন, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৪০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছি। আমাদের দাবি, রুলস অব অরিজিন বিবেচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য এ শর্ত শিথিল করা হোক। আমাদের জন্য এটি একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, তবে বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ী সমাজকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’
বিজিএমইএ সভাপতি সরকারের সময়মতো সঠিকভাবে আলোচনায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। ‘এটা সত্যিই উদ্বেগজনক যে, গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়গুলোতে ব্যবসায়ী সমাজকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি সরকার সত্যিই পদক্ষেপ নিতে চায়, তাহলে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সঠিকভাবে আলোচনা করা উচিত,’ বলে মনে করেন দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠনের সভাপতি।
এ ছাড়াও বিজিএমইএ সভাপতি সুতা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘যখন আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলছি, তাদের সুতা কেনা বাড়ানো হবে, তখন আমাদের দেশের সরকার কীভাবে আবার সুতা আমদানিতে অগ্রিম আয়কর আরোপ করছে? এটি সত্যিই স্ববিরোধী,’ মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও, ঈদের আগে কারখানাগুলোর বেতন-বোনাস পরিশোধের হার ৯৯ শতাংশের ওপরে ছিল। শ্রমিকদের জন্য আইনগত পাওনা নিশ্চিত করতে আমরা শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের খাতের অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মধ্যে, সুতরাং সংবাদ প্রচারের আগে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের শর্ত নিয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান বাবু বলেন, ‘ওভেন পোশাকে (বুননজাত পোশাক) ৪০ শতাংশ ভ্যালু এড করা সম্ভব।
যদি যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে, তবে আমরা এ শর্ত মানতে রাজি।’ চীন থেকে আমদানি কমানো ও চীনা বিনিয়োগ কমানোর শর্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই শর্তগুলো সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সরকার নন-ডিসক্লোজার চুক্তির কারণে কিছু শেয়ার করতে পারছে না।’