দুই বিশিষ্ট ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের দক্ষিণ গাজায় কথিত মানবিক শহর স্থাপনের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে আটকে রাখার শামিল।
রবিবার সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এবং এহুদ ওলমার্ট গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখার সমালোচনা করেছেন। এই হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা লাপিদ ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে বলেছেন, রাফা শহরের ধ্বংসাবশেষের ওপর মানবিক শহর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ভাল কিছুই বয়ে আনবে না।
লাপিদ বলেন, এটি সম্ভাব্য সকল দৃষ্টিকোণ থেকে; নিরাপত্তা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, লজিস্টিক একটি খারাপ ধারণা।
আমি একটি মানবিক শহরকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প হিসাবে বর্ণনা করতে পছন্দ করি না। তবে যদি এটি থেকে বাইরে আসা যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তবে এটি একটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প।
লাপিদ ২০২২ সালে ছয় মাস ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ইসরায়েলি সরকারের মতে, মানবিক শহর প্রাথমিকভাবে গাজার দক্ষিণ উপকূলে আল-মাওয়াসির জনাকীর্ণ এলাকায় তাঁবুতে বসবাসকারী ছয় লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেবে। কিন্তু ধীরে ধীরে গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ৪ এপ্রিল, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ হাজার ৮০০। ৪ জুলাই পর্যন্ত সংখ্যাটি ২৮ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে যায়।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ওলমার্টও নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, এটি একটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। আমি দুঃখিত। যদি তাদের [ফিলিস্তিনিদের] নতুন 'মানবিক শহরে' নির্বাসিত করা হয়, তাহলে আপনি বলতে পারেন যে এটি একটি জাতিগত নির্মূলের অংশ।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল