গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৫৪টি খুন, ১২ হাজার ৭২৬টি নারী ও শিশু নির্যাতন, ৪ হাজার ১০৫টি ধর্ষণ, ৮১৯টি অপহরণ এবং ৯৭টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ১ হাজার ৭৩০টি চোরাচালান, ১ হাজার ৫২৬টি দস্যুতা, ৬১০টি ডাকাতি, ৩৮ হাজার ১৭৬টি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ এবং ৭ হাজার ৩১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৯৮টি দ্রুত বিচার মামলা।
পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে দেশে অপরাধপ্রবণতার এ তথ্য প্রকাশ করে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ১০ মাসে বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলতি বছর দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে-বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে-এমন দাবি সঠিক নয়।’ পুলিশ সদর দপ্তর যে তথ্য দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে ১ হাজার ৯৩৩টি খুন, ২ হাজার ৭৪৪টি ধর্ষণ, ৫১৭টি অপহরণ এবং ৩৬৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০২৪ সালে সারা বছরে ৪ হাজার ১১৪টি খুন, ৪ হাজার ৩৯৪টি ধর্ষণ, ৬৪২টি অপহরণ এবং ৪৯০টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অপরাধ দ্রুত বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। বাস্তবে বেশির ভাগ গুরুতর অপরাধের হার কমছে বা একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।’
প্রেস উইং নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, অপরাধের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, যাতে বোঝা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’