কুমিল্লার চান্দিনায় দিন দুপুরে বাড়িতে গিয়ে প্রবাসী মো. সোহেল সরকারকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, আইফোন লুটে করা হয়। তারপর ওই প্রবাসীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তার স্ত্রীর কাছে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং মুন্সিবাড়ি এলাকার মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে সোহেল মুন্সি (৩৯), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মালাপদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে সোহাগ আহমেদ (৩৫), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হাড়িয়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীর চরমধুয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো. হানিফ (২৭) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে মো. ফয়সাল (২৭)। সংঘবদ্ধ এই আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দক্ষিণ বটতলী গ্রামের মো. জব্বার সরকারের ছেলে। গত ১১ জুলাই রাতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে সরাসরি শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন।
তিনি জানান- রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ৫-৬জন লোক শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজেন। এসময় তারা নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেন। আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসতেই তারা আমাকে ঝাপটে ধরে। আমার কাছে অবৈধ মাল আছে বলে জানায়। তারা শ্বশুরের ঘর থেকে বিদেশ থেকে আনা প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ১টি আইফোন ও ১টি স্মার্ট ফোনসহ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে আনে। তারা আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় এনে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে আমার স্ত্রীকে ফোন দেয়। আমার স্ত্রী চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেনা বাহিনীর সদস্যরা আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে। এসময় সোহেল মুন্সিসহ ২জনকে আটক করে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২ জনকে আটক করে থানায় দিলে আমরা অভিযান চালিয়ে আরও ৩ জনকে আটক করি। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল