ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সঞ্জু বড়াইক নামে ২০২০-২১ সেশনের এক শিক্ষার্থী হলের রবীন্দ্রভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে ‘সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি’ লিখে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন এ শিক্ষার্থী। গতকাল ভোর আনুমানিক ৫টা ৩৬ মিনিটে একজন ক্লিনার এ শিক্ষার্থীকে লাফ দিতে দেখেন বলে জানান হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল।
দেবাশীষ পাল বলেন, ‘ভোর আনুমানিক ৫টা ৩৬ মিনিটে একজন ক্লিনার তার কাজ করতে গিয়ে তাকে লাফ দিতে দেখেন। পরে দারোয়ানকে জানালে তিনি আমাকে অবগত করেন এবং অন্যদের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারছিলাম না। পরে শাহবাগ থানা থেকে পুলিশ এসে তার পকেটে নৃবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রশ্ন পায়। এরপর তার সহপাঠীদের কাছ থেকে তার পরিচয় জানতে পারি।’
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছেলেটি কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি দুই দিন ধরে সে হলে থাকে না। তার এক বাল্যবন্ধুর বাসায় থাকত। সেখান থেকে এসে রবীন্দ্রভবনের ছাদ থেকে লাফ দেয়।’ উল্লেখ্য, সঞ্জু বড়াইক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমু চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান।
রবিবার রাতে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে বলেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয় নি, আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেয়া আমার ঠিক হয় নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমার কারণে কারো কোনো ক্ষতি হলে সে দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’