নারায়ণগঞ্জে উদ্বোধন হয়েছে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরীর হাজীগঞ্জ এলাকায় এ স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেদিন ছাত্রজনতার সম্মিলিত গণআন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অন্তত ২২ জন তরুণ, যাদের অধিকাংশই ছাত্র। আহত হন সাড়ে তিনশো মানুষ। দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ, যা পরে রূপ নেয় পূর্ণাঙ্গ গণঅভ্যুত্থানে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ঘোষণার একটি ছিল, জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলা শহরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের লোকদের এমনভাবে হত্যা করা হলো, অঙ্গহানি করা হলো এর বিচার কোথায়? আমি আপনাদের দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, বিচার এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শাসনামলেই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
তিনি জানান, ৫ আগস্টের আগেই অভিযোগপত্র দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত অনেক অগ্রসর হয়েছে। অনেক মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত। পাঁচ আগস্টের মধ্যেই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনেরা।