বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে, যেখানে আসন্ন বাজেট কিংবা অর্থনৈতিক নীতিমালা কার্যকর হবে না।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬ : নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, তা নিয়ে এখন সবার মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তারা কোনো দায়িত্ব নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে না। জনগণের সমর্থন নিয়ে বর্তমানে কোনো দল ক্ষমতায় নেই। সরকার কত দিন থাকবে, নির্বাচন কবে হবে, নির্বাচন-পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর কেউ জানে না।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিনিয়োগ সম্মেলন ও সেমিনার আয়োজন নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়নের সময় এখন নয়। এ ধরনের অস্থির সময় ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডর ইস্যুকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং একটি স্পর্শকাতর ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো ধরনের উপদেশ গ্রহণ করা হয়নি। একটি অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘আমি বন্দর ইস্যুতে পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলছি না, তবে এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। একটি অরাজনৈতিক সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা আসলে কী প্রমাণ করতে চাইছে?’ বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখনো দ্বিধায় রয়েছে। কেউ এগোচ্ছে না। সবাই অপেক্ষা করছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসার জন্য। রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া নীতি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি দল তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। কিন্তু কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, তা জানানো হচ্ছে না। এটা প্রকাশ করতে এত অসুবিধা কোথায়?