আমেরিকান বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক ‘টেসলা’র আদলে দেশে প্রথমবারের মতো চালকবিহীন গাড়ি তৈরি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘সিনার্বোটিক্স’ নামে একটি দলে কাজ করে এ চালকবিহীন গাড়িটি তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘অটোমামা’। গাড়িটি আগামী জুলাই মাসে প্রাথমিকভাবে চালু হতে পারে। গাড়িটি একসঙ্গে তিন থেকে চারজন যাত্রী বহন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা নিহাল বেগ। যাত্রীসেবার পাশাপাশি গাড়িটি দিয়ে ফ্যাক্টরি, পর্যটনশিল্প ও এয়ারপোর্ট এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের ৯টি স্থানের যানবাহনের ধরন ও সড়কের ধরন (পাহাড়ি ও সমতল) বিবেচনায় নিয়ে একটি ডেটাসেট তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সড়কে চলাচলের সময় সামনে কী কী যানবাহন রয়েছে তা শনাক্ত করতে পারে অটোমামা। সড়কে এটি ১২ ক্যাটাগরির যানকে শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া যানটি সড়ক বিভাজক, গাছপালা, সড়কে বিছানো খড়, প্রাণীসহ আরও ২২ ধরনের বস্তু শনাক্ত করতে পারে। যানটি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কোন দিকে এবং কত গতিতে গেলে কোনো গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। ‘অটোমামা’ নির্মাতা দলের প্রধান মির্জা নিহাল বেগ বলেন, ক্যাম্পাসের যাতায়াতব্যবস্থা মাথায় রেখে আমরা এটি তৈরি করেছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিজেদের সীমিত রিসোর্স এবং ফান্ডের মাধ্যমে আমরা লেভেল ২ পর্যন্ত তৈরি করতে পেরেছি।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এটাকে আরও উন্নত অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম হিসেবে উন্নত করার।
এ বিষয়ে অটোমামা প্রজেক্টের সুপারভাইজার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুর রহমান বলেন, চালকবিহীন গাড়ি ‘অটোমামা’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ডেটা কালেকশনের প্রাইমারি গোলটা শেষ। এখন আপাতত প্রথমে আমরা সাস্ট ক্যাম্পাসে এটি চালাতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করতে পারবে।