বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন বা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপনে শতভাগ সফলতার নজির রেখেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হেমোটোলজি বিভাগ। দুই বছর আগে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন ইউনিট স্থাপনের পর বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত ২১ জন রোগীর দেহে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়। তারা সকলেই এখনও সুস্থ রয়েছেন। এ ধরনের প্রতিস্থাপনে উন্নত বিশ্বেও শতকরা একভাগ রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও ঢামেকে কোন রোগীর মৃত্যু ঘটেনি।
রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে 'বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন : সাফল্যের দুই বছর' শীর্ষক' সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক এম এ খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের (এমজিএইচ) সহযোগিতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও সহযোগী স্টাফদের মাধ্যমে বিশ্বমান বজায় রেখে বিশেষ সতর্কতা অনুসরণ করে রোগীদের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন করা হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম খরচে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে অটোলগাস পদ্ধতিতে (রোগীর শরীর থেকে অস্থিমজ্জা নিয়ে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন) অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এ বছরের শেষে ডোনারের বোনম্যারো সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপনের এলোজেনিক পদ্ধতিতেও প্রতিস্থাপন শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মিজানুর রহমান, ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের (এমজিএইচ) এর ডা. বিমলাংশু দে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ঢামেক ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম, সহকারি পরিচালক ডা. খাজা আবদুল গফুর, নাক, কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকাদার প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর ঢামেক হাসপাতাল ২ এর দশম তলায় এ ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ প্রথম বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটেশন করা হয়। গত দুই বছরে ১৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী ক্যান্সার রোগীর দেহে অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ