চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহী নোভার সঙ্গে সিংহ বাদশার বিয়ে আগামীকাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটবেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। উড়বে রং বেরঙের বেলুন। তিন শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে বুধবার দুপুরে জমকালোভাবে সানাই বাজবে নোভা-বাদশার।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টম্বর রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে সিংহ বাদশাকে ট্রাকে করে রওনা দিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে। চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম বাদশাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনে।
চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, বুধবার দুপুরে নোভা-বাদশার বিয়ে। কেক কেটে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে নতুন করে তৈরি করা নান্দনিক মূল ফটকটিও উদ্বোধন করা হবে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৬ জুন এখানে জন্ম নেয় সিংহী নোভা ও বর্ষা। জন্মের আগে মারা যায় বাবা ‘রাজ’। জন্মের পর হারায় মা ‘লক্ষ্মী’কে। দীর্ঘ একযুগ ধরে তারা ছিল মাতাপিতাহীন। এরপর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে গত ১৮ জুলাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-রংপুরের মধ্যে সিংহ বদলের সিদ্ধান্ত হয়।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এটি তত্ত্বাবধান করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির ৩৬৫টি প্রাণী আছে। এর মধ্যে ৩২ প্রজাতির পাখি ও ৩৩ প্রজাতির প্রাণী। বর্তমানে আছে দুটি সিংহী, একটি ভালুক, ১৮টি বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, ছোট-বড় ৩৪টি কুমির, ১১টি অজগর, তিনটি চিতা বিড়াল, মেছো বিড়াল, কাছিম, বানর ও বাঘডাস। তাছাড়াও আছে ধনেশ, টিয়া, ময়না, বক, হাঁস, চিলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি। ১৮টি হরিণের মধ্যে আছে একটি প্যারা, চারটি মায়া, চারটি সম্বর ও নয়টি চিত্রা হরিণ। বানর প্রজাতির মধ্যে আছে হনুমান, রেসাস ও ঊল্টা লেজি। তবে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে কোনো বাঘ নেই। ২০০৬ সালে মারা যায় বাঘ ‘চন্দ্র’। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার শেষ বাঘ ‘পূর্ণিমা’ মারা যায় ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর।
বিডি-প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব