গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নি দূর্ঘটনায় নিখোঁজের স্বজনা এখন লাশের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ধ্বসংস্তূপ ভবনের পাশে জেলা প্রশসান কন্ট্রোলরুমসহ বিভিন্ন জায়গায় লাশের দাবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার পর থেকে দিনরাত শুধু নিখোঁজের খোঁজে চোখের পানি প্রায় ফুরিয়ে আসছে। কখন মিলবে স্বজনের লাশ ।
সেনাবাহিনী ও ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নিখোঁজের স্বজনদের অভিযোগ ধ্বসংস্তূপ ভবনের উদ্ধার কাজ ধীরগতিতে চলছে। তবে কবে নাগাদ এ উদ্ধার কাজ শেষ হবে এমন তথ্য কারো জান নেই। গতকাল ছিল উদ্ধার কাজের ১০ম দিন। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে এমন ধারনা সবার।
টঙ্গী মডেল থানার এসআই সুমন ভক্ত জানান, 'ট্যাম্পাকো কারখানায় দূর্ঘটনার দিন আশংকজনক অবস্থায় রাসেলকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন থেকেই তিনি সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার আর জ্ঞান ফেরেনি। তার শরীরে ৭০ শতাংশের উপরে দগ্ধ ছিলো। ১০দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে মঙ্গলবার বিকালে মারা যান। ওইদিন রাতে তার বাবা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় তার বাবার কাছে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এর পূর্বেও চিকিৎসার জন্য তাকে আরো ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল'।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, 'এ পর্যন্ত টাম্পাকো দূর্ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১ জন'।
এদিকে লে.কর্নেল মো:রাশিদুল হাসান বলেন, 'গতকাল পর্যন্ত ৬হাজার দুই’শ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ভবনের উদ্ধার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। যেখানে লাশ থাকার কথা আমরা সেই খানেই গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না'।
গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'আহত যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আমি তাদের খোঁজ খবর নিয়ে হতাহতদের মাঝে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব'।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ তাফসীর