দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবাসিক সুুবিধার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াতেও প্রতিনিয়ত উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। এতে করে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
ক্যান্টিন সূত্র জানা যায়, ক্যান্টিনের সিদ্ধ ডিম আর খিচুরির দাম ৩০ টাকা। ভাজা ডিম আর খিচুরির দাম ৩৫ টাকা এবং তেহারির দাম ৪০ টাকা । এছাড়াও ছোট পরাটার দাম ৫ টাকা আর ডাল বা সবজির দাম ৮ টাকা, ছোট পুড়ির দাম ৩ টাকা, ছোট রোলের দাম ১০ টাকা। যা মানের দিক থেকে খুবই নিম্ন এবং দামের দিক থেকে আশপাশে বাহিরের হোটেলের দামের সমান।
এসব খাবার দুপুর ২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এদিকে ক্যান্টিনে শুধু খাবারের সমস্যাই নয়, খাবার মানের সঙ্গে সঙ্গে সল্পতা রয়েছে বসার জায়গারও। ক্যান্টিনের মধ্যে বসে খাওয়ার জন্য কয়েকটা টেবিল থাকলেও নেই তেমন পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা। রয়েছে কয়েকটা বেঞ্চ ও কয়েকটা ভাঙা চেয়ার। ফলে বেশির ভাগ সময় দাঁড়িয়েই খাবার খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে এরকম সঙ্কট থাকলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সামী সরকার বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে সচরাচর খাবারের মূল্য কম থাকে কিন্তু জবি ক্যান্টিনে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য রাখা হয়। ক্যান্টিনে ৯০ টাকার ২ লিটার কোক ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে ক্যান্টিন পরিচালক পারভেজ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাকে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মীকে ফাও খাওয়াতে হয়। এ অবস্থায় আমরা ক্যান্টিন চালাতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড.মীজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রশাসন ভুতর্কি না দিয়ে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র দিয়েছে। এতে খাবারের দাম বেশী রাখার কথা নয়। তবে জায়গা সংকটের কারণে নতুন ক্যাফেটরিয়া চালু করা যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/০৪ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল