তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য একটি দায়বদ্ধ ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত পরিমার্জন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টেলিভিশনসহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পরিচালনার জন্য জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পচ্রার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে মঙ্গলবার মোহাম্মদ ইলিয়াস (কক্সবাজার-১) ও মহিলা এমপি বেগম আখতার জাহানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ তথা গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। উভয় গণমাধ্যম মুখর (ভাইব্রেন্ট) খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৯৭৯টি। এছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩টি এবং বেসরকারি খাতে ২৬টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আরো ১৩টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে। ২টি চ্যানেলের সম্প্রচার সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। এছাড়া দেশে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক, ষান্মাষিক মিলে বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৮ শতাধিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরের অধিক সময়ে সা৭ শতাধিক অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি মালিকানায় ৩১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, ২৪টি এফএম বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিউিট বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরের অধিক সময়ে ১৬ হাজার ১ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
অপরদিকে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট একই সময়ে ২ হাজার ২৫৫ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব