সমিতির কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মেয়ের সামনেই সমিতির লোকজন মাকে অপমান করে। মায়ের এই অপমান সহ্য করতে না পেরে কলেজ ছাত্রী মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার স্বাধীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী ওই কলেজ ছাত্রীর নাম মিতু রানি ভৌমিক (১৮)। মিতুর বাবার নাম ঠাকুর দাস ভৌমিক। মিতু স্থানীয় একটি কলেজে পড়তেন।
মিতুর মা কাজল রানি ভৌমিক জানান, ছয়মাস আগে স্থানীয় একটি সমিতির কাছ থেকে তিনি ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। শনিবার সকালে সমিতি লোকজন বাড়িতে এসে কিস্তির টাকা চান। কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তারা তাকে অপমান-অপদস্ত ও হুমকি-ধামকি করেন। ‘প্রয়োজনে রক্ত বিক্রি করে, কিডনি বিক্রি করে’ হলেও আজকের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে তাকে শাসিয়ে যান সমিতির লোকজন।
মায়ের এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভে-অভিমানে মিতু রানি ঘরে থাকা বিষের বোতল নিয়ে বিষপান করেন। পরক্ষণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, "মিতুর মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।"
বিডি-প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর