নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) নামে দুটি মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। উভয় সড়কে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ঘন্টার ঘন্টা আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীসাধারনসহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনের চালকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বান্টি থেকে কর্ণগোপ ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের কাঞ্চন থেকে মীরেরটেক পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন যানজট নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। দুপুরের পর থেকে উভয় সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলতেদেখা গেছে।
পরিবহন চালক, যাত্রী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে(বাইপাস) সড়ক ক্রস করেছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচলস্বাভাবিক রাখতে হলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। আবার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। দুটি সড়কেই যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। তাই দুটি সড়কে যানবাহন চলাচলস্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয় এবং যানজটসৃষ্টি হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাপজপত্র চেক করার নাম করে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছে। আর থামিয়ে রাখা এসব যানবাহন চালকদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডাও হয়ে থাকে। ফলে থেমে থাকা যানাবাহনের কারনে যানজটের ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের জন্য এখন প্রায় সময়ই ওই দুই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন গুলোনিয়ম ভেঙ্গে চলাচলের করার কারনেও যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে, দুটি মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণ রাখতে ট্রাফিক পুলিশের এক জনসার্জেন্টসহ তিন জন পুলিশ সদস্য ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের একজনএসআইসহ তিন জন পুলিশ সদস্য দেয়া হয়েছে। আর এদের নিয়ন্ত্রন করছেন ট্রাফিক পুলিশের এক জন ইন্সপেক্টর।
অল্প কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যর কারনে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। যানবাহন চালকদের অভিযোগ, দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসনেরকাজ রেখে কাগজপত্র তল্লাশিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। চালকদের জিম্মি করে করা হচ্ছে চাঁদা আদায়। ঘন্টার পর ঘন্টা আটকা পড়ে থাকলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালনকরছেন।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহাবুব আলম বলেন, "যানজট নিরসন করতে পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে যানজট নিরসন হয়ে যাবে। কাগজপত্রদেখার নামে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়।"
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১৬