বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘূর্ণিভূত হয়ে ‘গভীর নিম্নচাপে’ পরিণত হয়েছে। তা সামান্য উত্তর দিকে সরে গিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি করছে। ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। সৃষ্ট ‘গভীর নিম্নচাপ’টি আজ রবিবার চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকুল অতিক্রম করতে পারে। তাই চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দর সমুহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থা করছিল। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা যায়, গভীর নিম্নচাপের মধ্যে বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য ওঠা-নামার কাজ কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। ইয়ার্ড থেকে পণ্য ডেলিভারিও ছিল স্বাভাবিক।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ/১২