বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে হরকাতুল জেহাদের ৭ সদস্য নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। উচ্চাদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হবার পর কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে তাদের তুলে অজ্ঞাত স্থানে নেয়া হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে নিখোঁজ হরতাকুল জেহাদের ৭ সদস্যের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
নিখোঁজ হুজি সদস্য বাকী বিল্লাহর ভাই খাইরুল বাশার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ ৭ হুজি সদস্যকে মুক্তি দেয়। কিন্তু সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমান কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে তাদের তুলে অজ্ঞাত স্থানে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে এই সংবাদ সম্মেলন করা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা বলেন, নিখোঁজদের যদি কোন অপরাধ থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হোক। তারা নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার নাচন মহলের একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের খবরে এই হুজি সদস্যদের আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র, জঙ্গি বই ও হুজির লিফলেট। তখন বিষ্ফোরক, অস্ত্র এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে প্রত্যেকের নামে ৩টি করে মামলা করে পুলিশ।
স্বজনদের দাবি অনুযায়ী নিখোঁজ সদস্যরা হলো মো. বাকীবিল্লাহ, মো. নুরুল ইসলাম, মো. সোহাগ, মো. জোবায়ের, মো. আবুল বাশার, মো. সিরাজুল ও মো. মিনহাজুল। এদের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি ঝালকাঠী জেলায়, ২ জনের বাড়ি মাদারীপুর এবং একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।