আগামী ২৩শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান- সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শেষে রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সম্মানে সুরমা নদীর উপর ভাসমান রেস্টুরেন্ট ‘সুরমা রিভার ক্রুজ’ এ রাতের খাবারের আয়োজন করেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল, সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা সজীব দাস ও শান্ত দেব।
রাতের খাবার খেয়ে সিলেটের যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপচারিতায় বসেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত থাকা সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গীরদার, সেলিম আহমদ সেলিমের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। তাদের কাছ থেকে চেয়রাম্যান সিলেট মহানগর যুবলীগের বর্তমান অবস্থা শুনে ক্ষেপে যান এবং শীঘ্রই এ কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত থাকা একাধিক যুবলীগ নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র আরো জানায়- সিলেটের নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি সভা আয়োজনের উপর ক্ষোভ ঝেড়ে ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন- মন্ত্রীপাড়া নির্ভর এসব কমিটি দিয়ে যুবলীগ চলবে না। আহবায়ক কমিটি ২ বছর কাটিয়ে দিলেও এখনও বেশীরভাগ ওয়ার্ডেরই কমিটি গঠন করতে পারেনি। শেখ হাসিনা সিলেট থেকে যাওয়ার পরই এ কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং প্রকৃত মেধাবী ও ত্যাগীদের দিয়ে একই সাথে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
দলীয় সুত্রে আরো জানা যায়- এবারের যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সিলেট সফরের সকল ব্যয়ভার বহন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আলম খান মুক্তিকে আহবায়ক এবং মুশফিক জায়গিরদার, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুর রহমান খোকন ও সেলিম আহাম্মেদ সেলিমকে যুগ্ম আহবায়ক করে তিনমাসে জন্য ৬১ সদস্যের সিলেট মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাস মেয়াদের এ কমিটি ২ বছরকাটিয়ে দিলেও এখনো সম্মেলন আয়োজন করতে পারেনি।