বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রাণঢালা ভালোবাসা, স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ঐক্য প্রতিষ্ঠার সক্ষমতা, এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা— এ গুণগুলোকে ধারণ করে, একজন ভিন্নমাত্রিক প্রার্থীর জন্য আমি ঢাকা-১৪ আসনটি গুছিয়ে রেখেছিলাম। কারণ নতুন ধারার রাজনীতি, তারুণ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন, ত্যাগের মূল্যায়ন, ৩১ দফার আলোকে দেশ পরিচালনা— এসব বিষয়ে আমি অনেক কথা বলেছি, দেশজুড়ে ছুটে বেড়িয়েছি। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির বড় কমিটমেন্ট বাস্তবায়নের যে দায়বদ্ধতা, ক্ষুদ্র একজন স্টেকহোল্ডার হিসেবে সেই দায়িত্বের কিছুটা আমার ওপরও এসে পড়েছে।
কথাকে কাজে পরিণত করার শুরুটা আমার নিজের ঘর, নিজের এলাকা, নিজের আসন থেকেই করতে হবে। এ কারণেই, সম্ভাব্য সেরা প্রার্থী হিসেবে সানজিদা ইসলাম তুলি আপার পক্ষে এগিয়ে আসাটা ছিল ন্যাচারাল ডিসিশন। আমার নেতা তারেক রহমান আমাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সম্পৃক্ত করেছেন— যেমন বিএনপির ভবিষ্যৎ সরকার পরিচালনায় বিভিন্ন সেক্টরে পলিসি তৈরি ও বাস্তবায়ন, একটি মেধাভিত্তিক সিস্টেম গড়ে তোলা যেখানে বৈষম্য থাকবে না, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, এবং নতুন ভিশন ও নতুন ট্যালেন্টকে সুযোগ দেওয়া, ইত্যাদি।
আমাদের হাতে সময় অল্প, কিন্তু প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া। বাস্তবতা হলো— অর্পিত দায়িত্বগুলো পালন করতে গিয়ে, নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা বা ভোটের পর জনগণের পাশে সার্বক্ষণিক থাকা, আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। তাই নিজে একটি আসনে নির্বাচন না করে, আমি দলের জন্য জাতীয় পরিসরে, বৃহত্তর ভূমিকা রাখতে চেয়েছি।
আমার স্বপ্নটা ব্যক্তিগত নয়— এটি সমন্বিত; ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের সংকল্প। আমি চাই, জাতীয়তাবাদী আদর্শ তথা আমাদের নেতার রাজনীতিকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, দেশব্যাপী তৃণমূলকে ছুঁয়ে যেতে।
নির্বাচনী রাজনীতিতে না নামলেও, ঢাকা-১৪ আসনের প্রতিটি নেতাকর্মী ও সমর্থকের ভালোবাসায় আমি সিক্ত, গণমানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। বিএনপি সরকার গঠন করলে আমার অগ্রাধিকার থাকবে জনগণের সমস্যা সমাধান, ভাগ্য পরিবর্তন ও আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে সক্রিয় থাকা।
অনেকের ধারণা, মনোনয়ন পেতে অর্থ-বিত্ত বা পেশীশক্তি প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে— প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সংগ্রামী ব্যাকগ্রাউন্ড। তাই আমার এলাকা থেকেও, এই প্রতিটি গুণের সমন্বয়ে একজন সৎ, যোগ্য ও সাহসী প্রার্থী সানজিদা ইসলাম তুলি মনোনয়ন পেয়েছেন, সেটিই স্বাভাবিক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও নীতিনির্ধারকরা সমর্থন জানিয়েছেন— গুম হয়ে আজও ফিরে না আসা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক ও মানবাধিকারকর্মী তুলি আপা সেই প্রার্থী, যিনি নেতার নির্দেশনায় জনগণের পাশে থাকবেন। আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত, তরুণ এই নেত্রীর আন্তরিকতায় স্পষ্ট, তিনি নেতাকর্মীদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন, ঐক্য ধরে রাখবেন, এবং এলাকার উন্নয়নে ব্রত থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
তুলি আপার জন্য কাজ করা মানে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত থাকা, ধানের শীষে মিশে থাকা আদর্শকে ধারণ করা, নিপীড়িত মানুষের আবেগকে সম্মান জানানো। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় সবাই যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন, সহযোগিতা করছেন, দল অবশ্যই তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে। আর কেউ যদি বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেন, তবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা অনিবার্য। ফ্যাসিবাদের কবলে গুম, খুন ও শহীদ পরিবারগুলোর যে ত্যাগ— তার প্রতীক হয়ে, ঢাকা-১৪ থেকে বিএনপির পক্ষে যিনি লড়বেন, সেই বোনের জন্য চাই সবার নিরন্তর সহযোগিতা ও শুভকামনা।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/শআ