ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম মিয়ানমারের বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগণের পাশে দাড়িয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন রাখেন- রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চুপ কেন? তিনি মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের পক্ষে মত দেন। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এসব নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আপনারা যদি শরণার্থীর চাপ সামলাতে ভয় পান, তাহলে এদেশের মানবতাবাদী মানুষের সহায়তায় এসব শরণার্থীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।
আগামী ৫ ডিসেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে মিছিলে যোগ দিতে সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের ২য় দিন রবিবার অনুষ্ঠিত ওলামা-মাশায়েখ সুধী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন আল্লামা মোজ্জাম্মেল বাদাউনি। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
৩ দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর পীর সাহেবের বয়ান ছাড়াও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বয়ান করছেন। আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৩দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ