সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ডিগ্রী কলেজকে জাতীয় করণের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপধ্যাক্ষ মীর হোসনেরা বেগম, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোজদার হোসেন, কলেজের শিক্ষক আবুল বাশার, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন জেমস, তাড়াশ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আতিকসহ ঢাকাস্থ তাড়াশবাসী। মানববন্ধন শেষে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বারক লিপি পেশ করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত উপজেলা সদরের কলেজটিকে জাতীয় করণ না করে কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের যোগসাজসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নন এমপিও ভুক্ত একটি কলেজ জাতীয় করণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে তাড়াশ উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ তথা চলনবিলবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি দীর্ঘ ৪৫ বছর কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষাদান করে আসছে। একাদশ, দ্বাদশ, স্নাতক(পাস), স্নাতক(সন্মান) শ্রেণির প্রায় ২ হাজার ৫শ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত। বর্তমানে ৬টি বিষয়ে অনার্স শ্রেণিতে পাঠদান করা হচ্ছে। নিজস্ব ৩২ বিঘা জমি, তিনতলা তিনটি ভবন, তিনটি একতলা ভবন, বিশাল খেলার মাঠ এবং সমৃদ্ধ পাঠাগার রয়েছে। জাতীয় করণের যেসব শর্ত রয়েছে তা পুরণ করা হয়েছে।
মীর হোসনেরা বেগম বলেন, এই কলেজটিকে জাতীয় করণের দাবিতে কলেজটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি দুই দফা ডিও লেটার পাঠানোর পরও বিশেষ কারণে জাতীয় করণ হচ্ছে না। একজন এমপির সুপারিশে কাজ না হলেও আমরা কোন সমাজে দাড়িয়ে আছি। আশা করি সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক অধ্যাপক মোজদার হোসেন বলেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারি করণ ভেস্তে যাচ্ছে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি-আপনি যাচাই-বাছাই করে কলেজ জাতীয় করুণ করুন। জাতীয় করণের সকল শর্ত পুরণ করার পরও কেন হচ্ছে না-তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, এই কলেজকে জাতীয় করণের দাবিতে এমপি ডিও লেটার দিয়েছেন। আমরা একাধিকবার স্বারক লিপি দিয়েছি। নিজ এলাকায় মানববন্ধন করেছি। এবার ঢাকায় আসতে হয়েছে। আমাদেরকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার মতো আন্দোলনে যেতে বাধ্য করবেন না। আশা করি জেলার অন্যতম পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় কারণ করে সরকারের মহতি উদ্যোগ আরো এগিয়ে নেবে।