কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির দাপ্তরিক ভাবে আমরা বুধবার মৃত্যু পরোয়ানাসহ রায়ের কপি পেয়েছি। সেটা এখন জেলকোড অনুযায়ী এবং জেলকোডের নীতিমালা অনুযায়ী বাকীটুকু এক্সিকিউট করা হবে। বুধবার পড়িয়ে শুনিয়েছি এবং আমাদের ক্ষণগণনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। ওনি যেহেতু জেলকোড অনুযায়ী ৭দিন সময় পাবেন, ৭দিন সময় তাকে দেওয়া হয়েছে। এখন ওনি ৭দিনের মধ্যেই জানাবেন ওনি (প্রাণভিক্ষা) করবেন কি না, সেটা এই মুহূর্তে কিছু বলেননি। এটার ব্যাপারে আমার কাছে কোন খবর নেই, যে কেউ করবেন কি করবেন না, এটা আমি মিডিয়া থেকে জানতেছি ওনারা বলছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার কমপ্লেক্সে ৪৯তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের নবনিয়োগ প্রাপ্তদের শপথগ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বলেছেন, কারাগার একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান বিধায় দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয়। কারাগারে দায়িত্ব পালন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভিন্নতর ও চ্যালেঞ্জিং। নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বর্তমানে কারাগারে বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের সংশোধনপূর্বক সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানামুখী পদপক্ষপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ ধরনের উদ্যোগকে সফল করতে হলে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতাবৃদ্ধি করা অতি জরুরী একটি বিষয়। দক্ষতা বৃদ্ধির মূল নিয়ামক হলো প্রশিক্ষণ।
তিনি বলেন, কারা অভ্যন্তর হতে জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনরূপ সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। শৃংখলা ও মানবিকতাকে প্রধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মোঃ ইকবাল হাসান, ডিআইজি প্রিজন্স মোঃ বজলুর রশীদ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সুলাইমান সহ কারাকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান অতিথি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে ‘ডে কেয়ার’ সেন্টার উদ্বোধন করেন।
রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ-এই ভিশনকে সামনে রেখে ৬ মাস মেয়াদী এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩০৪ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৯৬জন পুরুষ ও ৮জন মহিলা কারারক্ষী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন