নানা নাটকীয়তা শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে আবারো নগর ভবনের চেয়ারে বসলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে সিটি করপোরেশন অফিসে আসেন তিনি। এসময় তাঁকে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এর আগে আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়র পদে ফিরতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এর ফলে মেয়র হিসেবে আরিফুলের স্বপদে ফিরতে আইনগত বাধা দূর হয়।
মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অবিচার করা হয়েছিল, সেই অবিচারের বিচার আমি পেয়েছি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ আমি মেয়রের চেয়ারে ফিরলাম।’
এর আগে গত রোববার প্রায় দুই বছর তিন মাস পর আরিফুল আদালতের নির্দেশে মেয়রের চেয়ারে বসার মাত্র তিন ঘণ্টার মাথায় দ্বিতীয় দফায় বরখাস্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় বরখাস্তের আদেশের পরদিন সোমবার ঢাকায় গিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। গতকাল বুধবার তিনি সিলেট ফেরেন।
উল্লেখ্য, আরিফুল হক ২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। নয় মাস মেয়রের দায়িত্ব পালনের পর হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হয়ে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি কারাবন্দী হন। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
কিবরিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে বোমা হামলার মামলায়ও সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তিনি।