রাজধানীর মগবাজারে বাবা-মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে ঐশী রহমানের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে তার বক্তব্য শুনলেন হাইকোর্ট। এরপর তাকে আবারও কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে এগারটা পর্যন্ত খাসকামরায় ১৫ মিনিট একান্তে ঐশীর কথা শোনা হয়। সেখানে কেবল আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের একজন করে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সোমবার সকাল পৌনে দশটার দিকে হাইকোর্টের নির্দেশে ঐশীকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এজলাসে বসে তাকে নিয়ে খাসকামরায় যান। সেখানে দশটা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা এগারটা পর্যন্ত তার বক্তব্য শোনা হয়।
আইনজীবীরা এজলাসকক্ষে ফিরে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আদালত এজলাসে উঠে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন বলে জানান তারা।
ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলাকালে গত ৩ এপ্রিল মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিল তাকে হাজির করতে আইজিকে (প্রিজন) আদেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই আদেশ অনুযায়ী এদিন ঐশীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ থেকে ডেথ রেফারেন্সের এ শুনানি চলছে। আদালতে ঐশীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
ঐশীর আইনজীবীরা আদালতে বলেন, কোনো সুস্থ ব্যক্তি বাবা-মাকে হত্যা করতে পারে না। একটি মেডিকেল রিপোর্টেও দেখা গেছে, সে মানসিক বিকারগ্রস্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের একটি বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। এছাড়া খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ায় ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দু’বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব