সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরেই রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। গার্মেন্টস শিল্পের সুবিধার্থে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পে চীন সরকার অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. এনামুর রহমানের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আব্দুলাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা। এই রাস্তার দুইপাশে বিল ও জলাশয় রয়েছে। যেখানে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব নয়। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত করতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যে কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পণা নেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু বিভাগের সঙ্গে বসেছিলেন। ওখানে অনেক গার্মেন্ট শিল্প আছে। ওই সড়কটি প্রশস্থ হওয়া দরকার। যেহেতু নীচে প্রশস্ত করা কঠিন তাই এয়ারপোর্ট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
গার্মেন্ট শিল্প মালিকরা বলেছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি নিচে ফোরলেন করার কথা। আসলে ফোরলেন আর প্রয়োজন হবে না। কারণ যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প থাকবে। ফলে নেমে যাওয়ার কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও পরে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ওই এলাকায় ফুটপাত ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থা চালু করা দরকার। এটা করা কঠিন। কারণ রাস্তার পাশে অনেক দোকানপাট ও গার্মেন্ট শিল্প আছে। এর ভেতর দিয়ে কাজ করা খুবই কঠিন। তবে জনগণের সুবিধার্থে ফুটপাত নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
বেইলী ব্রিজগুলোর স্থলে পাকা সেতু
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরীর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সঙ্গে বেইলী ব্রিজগুলোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ সত্য
সরকার দলীয় সদস্য আফতাব উদ্দিনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নীলফমারী জেলার ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ সত্য। এনিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই ঠিকাদারকে ডেকে কথা বলার জন্য বলা হয়েছে। সে না পারলে কার্যাদেশ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা মহাসড়কে বরাদ্দ খুবই কম
আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আজিম আনার প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের তুলনায় জেলা মহাসড়কে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম। গতবার এই খাতে কিছু থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। এবারও পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করা যায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে।