নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টস কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন শুভ্রকে হত্যার ঘটনায় এখনো কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি। গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় চরম হতাশায় ভুগছে শুভ্রর পরিবার। এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ১৫ দিনেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
পলাতক আসামিরা হলেন- জামাই মিলন (৩২), সমীর (৩০) কাউছার (৩৪) ও বশির (৩১)।
নিহত শুভ্র’র বাবা শাহাদাত হোসেন শিকদার জানান, ১৫ আগস্ট বিকেলে মাসদাইর আদর্শ স্কুলের উত্তর পাশের মায়ের আচল নামক নির্মানাধীন ১২ তলা বাড়ির ৭ম তলায় ডেকে নিয়ে উল্লেখিতরা সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শুভ্রকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এরপর হত্যাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য শুভ্র’র লাশ শহরের খানপুর হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় খুনিরা। পরে জৈনত তানি নামে পরিচয় দিয়ে শুভ্র’র ছোট ভাই সৌরভকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়।
পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ৩ জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে বাবুল সাহা জীবনের কাছ থেকে শুভ্র’র মোবাইল সেট, মানি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু শুভ্র’র ব্যবহ্নত মোবাইলের সিম মেমোরী কার্ড ও মানি ব্যাগে থাকা টাকা উদ্ধার করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি তিনজনকে রিমান্ডে আনলেও তারা মুখ খুলেনি। রিমান্ড শেষে তাদের হাজতে রাখতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। আমি পলাতক ৪ জনকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই তুষার কান্তি দাস জানান, গ্রেফতার ৩ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ আগষ্ট ফের আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে তারা কিছু তথ্য দিয়েছে তা যাচাই বাঁছাই করছি। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২৯ আগস্ট ২০১৭/হিমেল