বরিশালে ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। স্টিমার ঘাট জামে মসজিদের ছানি ইমাম মাওলানা সিহাবউদ্দিন প্রধান জামাতে নামাজ পড়াবেন। সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
আজ বেলা ১২টার দিকে প্রধান ঈদ জামাতের সব শেষ প্রস্তুতি দেখতে সরেজমিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন- সিটি মেয়র এবং জেলা প্রশাসক। এ সময় তারা সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল নগরবাসীকে প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে প্রধান জামাতসহ সকল ঈদ জামাতের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।
বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ ময়দানে সকাল ৯টায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এখানে ঈদ জামাতে ইমামতিত্ব করবেন।
বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে পিরোজপুরের নেছারাবাদ ছারছিনা দরবার শরীফ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া বিভাগের ঝালকাঠীর মরহুম হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ মরহুম হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (র.) মাজার ওয়াকফ্ স্টেট ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং বরিশাল জেলার উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ঈদগাহ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৮ টায় বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল নগরীতে বৃহৎ ঈদ জামাতের মধ্যে সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম ও ৯টায় দ্বিতীয়, চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায়, কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায়, পুলিশ লাইনস্ জামে মসজিদে ৮টায় ও ৯ টায়, কেন্দ্রীয় কারাগার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং আলেকান্দা নূরিয়া স্কুল ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বরিশাল নগরী এবং বিভাগের ৬ জেলায় ছোট-বড় সহস্রাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীয় ইমাম সমিতি সূত্র জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
