ঢাকার কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যামামলার প্রধান আসামি আল আমিন জনিকে ছয় দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবিব রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন আসামি জনিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলনা।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোজাম্মেল হোসেন জানান, আসামি জনিও আদালতে কোনো কথা বলেননি। রিমান্ড শুনানীতে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, বোন পারভিন আক্তার মুক্তাকে তার স্বামী আব্দুল করিম তালাক দিতে চেয়েছিলেন। এ কারনে মুক্তা আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর আসামি জনি এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে বোনের যন্ত্রণা দেখে তার সতীন ও তার ছেলেকে হত্যা করে এ মামলার প্রধান আসামি জনি।
এরআগে ঢাকার নিউ মার্কেট থেকে ‘১০০ টাকায় একটি চাকু কেনার পর’ শামসুন্নাহারের কাকরাইলের বাসায় গিয়েছিলেন জনি। সে কলিংবেল চাপলে কাজের বুয়া দরজা খুলে দিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। তখন সে রান্নাঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে প্রথমে চাকু দিয়ে শাওনকে আঘাত করে এবং তাকে চুপচাপ বসে থাকতে নির্দেশ দেয়। এরপর সে শামসুন্নাহারের ঘরে গিয়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। শাওন উঠে গিয়ে তার মাকে রক্ষার চেষ্টা চালালে তাকে আবার আঘাত করে আল আমিন জনি। এরপর শাওন বাসা থেকে বের হয়ে সিঁড়ির কাছে গিয়ে পড়ে যান। তাই এ হত্যাকান্ডে সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না সে বিষয়ে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের ভিআইপি রোডের ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি ভগ্নিপতি করিম (৫৬), করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা (২৫) এবং মুক্তার ভাই আল আমিন জনিকে আসামি করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/ ৫ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান