গাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতাল কর্মী আমির হোসেন রিংকু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অপর দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আমির হোসেন রিংকু ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার কাঠালিয়া গ্রামের আবুল কাইউমের ছেলে।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আল আমিন ওরফে ছিনতাইকারী আলামিন বরিশালের কোতোয়ালী থানার পলাশপুর গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টঙ্গীর মরকুন টেকপাড়া এলাকার আজগরের ছেলে রকি ওরফে রাকিব এবং ব্রাহ্মন বাড়ীয়ার কসবা থানার শাহাপুর গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে কাকন ওরফে কালন।
গাজীপুর আদালতের পিপি হারিছউদ্দিন আহমদ জানান, নিহত আমির হোসেন রিংকু টঙ্গীর গোপালপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বসবাস করে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে চাকুরি করতেন। রিংকুর সঙ্গে আসামী আল আমিন, রকি এবং কাকনের পূর্ব বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে গত ২০১৫ সালের ১২ জুন রিংকু বাসায় ফেরার পথে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতুতে পৌঁছলে মামলার অভিযুক্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মুর্মূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা আবুল কাইউম টঙ্গী থানায় চারজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো: বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার সকালে আদালত এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মামলার প্রসিকিউসন পক্ষে ছিলেন পিপি এডভোকেট হারিছউদ্দিন আহমদ এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট সরকার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রিপন ও এডভোকেট আম্বিয়া আফরোজা রত্না।
বিডিপ্রতিদিন/ ৬ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান