সাভারের বনগ্রাম এলাকা থেকে এক যুবককে অপহরণের তিন মাস পর তার সন্ধান পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন পথচারীরা।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম হানিফ পালোয়ান (৩৪)। সে সাভারের বনগ্রাম ইউনিয়নের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ জুলাই গভীর রাতে ঘরের সিধ কেটে ঘুমন্ত হানিফ পালোয়ানকে (৩৩) অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী রমিজ উদ্দিনের লোকজন। এসময় তারা ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ এক লাখ টাকাও হাতিয়ে নেয়।
এঘটনায় অপহৃতের মা জবেদা বেগম বাদী হয়ে রমিজ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা (নং-২৩) দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে- রমিজ উদ্দিন (৫০), জমির উদ্দিন ওরফে জমু (৫৫), তমিজ উদ্দিন (৪৫), তাজিম উদ্দিন (৪২), নাজীম উদ্দিন (৪০), নুরজাহান বেগম, সুমন মিয়া, রুবেল মিয়া, কালাচাঁন ওরফে কালা, মো: আসলামসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে কে বা কারা অপহৃত হানিফকে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর এ.এফ.এম সায়েদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপহৃত যুবক হানিফ পালোয়ানকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। জ্ঞান না থাকায় আমরা এখনও তার সাথে কথা বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে কে বা কারা তাকে অপরহণ করে নিয়ে গিয়েছিল।
এই ঘটনার সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন ২২জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে হানিফের মা। এর মধ্যে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকী আসামি ধরতে বিভিন্ন এলাকার অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন